Home Featured রিয়েল এস্টেট প্রতারক রিপন মিয়া

রিয়েল এস্টেট প্রতারক রিপন মিয়া

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির নতুন বিষফোঁড়া

Mukto Chinta
0 comment 569 views

ফরিদ আলম : বহুমাত্রিক প্রতারণা আর রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে নিউইয়র্কে আরও এক প্রতারক মাত্র কয়েক বছরেই ‘আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ’ হয়ে গেছে। আর প্রতারণার শিকার বহু মানুষ এখন সর্বস্ব হারিয়ে বিচারের আশায় ঘুরছে। ভ‚ক্তভ‚গীরা বলছেন, বিএনপি সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারক রিপন মিয়া বিনা পূঁজিতে ব্যবসার নামে প্রতারণা করে এখন তিনটি বাড়ির মালিক। রিপন মিয়া একই বাড়ি একাধিক ব্যাক্তিকে দেখিয়ে বিক্রির কথা বলে অগ্রিম নিয়ে এখন আর তাদেরকে পাত্তা দেন না। কেউ কেউ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন আবার কেউ কেউ আদালতে যাবার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে কমিউনিটির পরিচিত আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী রিপনের সাথে সিন্ডিকেট করে এসব প্রতারণা করে যাচ্ছে। রিপন মিয়া এখন কুখ্যাত রিয়েল এস্টেট প্রতারক ম্যাথু কক্সকে ছাড়িয়ে যাবার প্রতিযোগিতায় আছেন।


ব-কলম রিপন মিয়ার জীবনের উত্থান রুপকথাকেও হার মানাবে। শিশুকালে শ্রীমঙ্গলের একজন পৌর কমিশনার তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে লালন পালন করেন। পড়ালেখা করা হয়নি বলে তাকে গাড়ি চালনা শেখান ওই কমিশনার। ১০ বছর বয়স থেকেই সে গাড়ি চালানো শিখে ফেলে। প্রথম জীবনে অনাদরে অবহেলায় একজনের ছত্রচ্ছায়ায় বড় হলেও এক সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের গাড়িচালকের চাকুরী পান। এই চাকুরী পাবার কারণে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের বিএনপি নেতার গাড়ি চালিয়ে প্রবাসেও এখন বিএনপি নেতা হবার অপেক্ষায়। বিএনপি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাকে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র একটি পদের জন্যও তিনি তদ্বির করে যাচ্ছেন। অনেক বিএনপি নেতার সাথেই তাকে দেখা যায় স্যুট টাই লাগিয়ে ছবি তুলতে। বহু মানুষের সাথে প্রতারণায় তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র -তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ড্রাইভার । ওই পরিচয়ে তিনি বাংলাদেশেও বহু অপকর্ম করেছেন। যে কারণে সাইফুর রহমানের ছেলে তাকে একবার আইনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তিনি সবার কাছে বলে বেড়ান সিলেটের এমন কোনো ব্যক্তি নেই যিনি তার নিউইয়র্কের বাসায় আসেননি। বর্তমানে সাইফুর রহমানের স্ত্রীর এক বান্ধবীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্নজনের সাথে প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ গেছে।
এদিকে কিছুদিন আগে তার স্ত্রীর সাথে ঝামেলার কারণে একাধিকবার গ্রেফতার হতে হয়েছে তাকে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার বিস্তর অভিযোগ। আর স্ত্রীরও অভিযোগের শেষ নেই রিপনের বিরুদ্ধে। সাপ্তাহিক মুক্তচিন্তা’র চলতি বছরের ফেব্রæয়ারির ৭ তারিখের সংখ্যায় ‘বউ চলে গেছে ভাড়াটিয়ার সাথে, স্বামী ঘুরছে পথে পথে’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। যেখানে রিপন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেন। আবার তার স্ত্রীও রিপনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলে বলেন, ‘রিপন তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সব টাকা তুলে ফেলেছে। রিপনের বহু পাওনাদারও রয়েছে।’
রিপনের স্ত্রীর এই অভিযোগ এবং সংবাদ ছাপা হওয়ার পর রিপনের বহু পাওনাদার যোগাযোগ করে মুক্তচিন্তা’র এই প্রতিবেদকের সাথে। এই সংবাদের সূত্র ধরেই প্রকাশ পেতে থাকে রিপনের নানা প্রতারণার ঘটনা। বিগত তিন বছরে এক ডজনেরও বেশি মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে রিপন অর্থ নিয়েছেন। যেগুলো ফেরত দেয়ার আর কোনো কথা বলেন না তিনি। কারো কাছ থেকে ধার হিসেবে আবার কারো কাছ থেকে নিয়েছেন বাড়ি কিনে দেয়ার নাম করে।
বিগত দুই মাসের অনুসন্ধানে জানা গেছে রিপনের জীবিকা অর্জনের মূল পেশা ছিলো গাড়ি চালানো। অথচ এরই মধ্যে তিনি ‘আলাদীনের চেরাগ’ পেয়ে নিজেকে রিয়েল এস্টে ইনভেস্টর বলে পরিচয় দেন। যদিও তার রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর হবার বা সেলস এজেন্ট হবার কোনো লাইসেন্স নেই। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন রিপন। স্ত্রী তার কাছ থেকে চলে যাবার পর এরই মধ্যে পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন রিপন। গ্রেফতার হবার কারণে তিনি এখন আর গাড়িও চালাতে পারেন না । প্রশ্ন উঠেছে তিনি তাহলে কিভাবে তিনটি বাড়ির মালিক হলেন এত অল্প সময়ে ? কি তার আয়ের উৎস ? এই প্রশ্ন তার স্ত্রী’রও। যে বাড়িটি তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির নামে অর্থ নিয়েছেন সেটি কুইন্স ভিলেজে অবস্থিত। অন্য একটি বাড়ি হলিসে। আরও একটি বাড়ি রয়েছে বাফেলোতে। কুইন্স ভিলেজের বাড়িতে প্রায় অর্ধশত ভায়োলেশনের টিকিট রয়েছে। অথচ যাদের কাছ থেকে বাড়ি বিক্রির কথা বলে অগ্রিম অর্থ নিয়েছেন তাদের কাছে ভায়োলেশনের কথা গোপন রাখেন। কুইন্সের বাড়িটি বিক্রির নামে যাদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েছেন তারা হচ্ছেন, দেওয়ান ফারুক ( ১ লাখ সাড়ে ১২ হাজার ডলার ), লুৎফর খান ( ৬০ হাজার ডলার ), কেএম ফুয়াদ ( ৪০ হাজার ডলার ) এবং রাইসুল রাসেল ( ২০ হাজার ডলার ) । এছাড়া হলিসের বাড়ি বিক্রির নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার নেন। পরে সেই বাড়ি ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার বলে সেই অর্থও আদায় করেন। এর পরেই সেখানে রিপন লিন বসায়। বাড়িটি প্রকৃতপক্ষে একটি সমিতি ( রিপন এই সমিতির সদস্য) ও অন্য একজন ব্যক্তির নামে। সেখানেও সে বাড়ি বিক্রির পরে লিন বসান। যদিও রিপন এখন প্রতিমাসে হলিসের এই বাড়ির সেকেন্ড ফ্লোর থেকে ২৫০০ ডলার, সেকেন্ড ফ্লোর থেকে ২২০০ ডলার এবং বেজমেন্ট থেকে ১৩০০ ডলার ভাড়া উঠাচ্ছেন। অন্য আরও অনেকের সাথেই তার একই রকম ঝামেলা রয়েছে। বাফেলোর বাড়িটির ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও সেখানেও অনেক ঘাপলা করেছেন বলে জানা গেছে।
রিপন মিয়া যে কেবল বাড়ি বেচার নামেই প্রতারণা করছেন তা নয়। সে অন্যের ব্যাংক একাউন্ট থেকেও কৌশলে বিপুল পরিমান অর্থ সরিয়ে ফেলেছেন নিখুঁতভাবে। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশী কমিউনিটিতে এটাই প্রথম। খুরশেদ আলী নামের এক ভুক্তভুগী অভিযোগ করেছেন রিপন মিয়া তার কাছ থেকে প্রায় ৭ লাখ ডলার নিয়েছেন । এই বিপুল পরিমান অর্থ চেজ ব্যাংকের ব্রডওয়ে শাখা থেকে রিপন মিয়া সরিয়ে নিয়েছে খুরশেদ আলী বাংলাদেশে অবস্থান করার সময়। খুরশেদ আলী এবং রিপন মিয়া দুজনেরই ব্যাংক একাউন্ট এই শাখাতে। অন্যের একাউন্ট থেকে কিভাবে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৬ ডলার সরিয়ে নিলো সেটা খোদ ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকেই অবাক করেছে।
রিপনের টার্গেটে রয়েছে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চিটাগং, নরসিংদি, ঢাকা, সাভার গোপালগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলার মানুষ। তারা প্রতারিত হয়ে অর্থ ফেরত পাবার আশায় ধর্না দিচ্ছে মাসের পর মাস এমনকি বছর ধরে। কিন্তু ফল হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে যারা তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এদের একজন খুরশেদ আলী। যার কাছ থেকেই রিপন নিয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৬ ডলার। অন্য একজনের কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার, এভাবে ৯০ হাজার, ৬০ হাজার, ৪০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকার পাওনাদার রয়েছে। রয়েছে ছোট-বড় আরও পাওনাদার। যারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা অভিযোগ করেন, রিপনের পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। যারা তাকে মদদ দেয় এবং এই অর্থের ভাগ পায়।এরা আবার কমিউনিটিতে রিয়েল এস্টেটসহ অন্য ব্যবসার সাথে জড়িত। কমিউনিটিতে তারা সুপরিচিত বড় ব্যবসায়ী হিসেবে।
উল্লেখ্য রিপনের সাথে বাংলাদেশে থাকতেই খুরশেদ আলীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে খুরশেদ আলী নিউইয়র্কে আসার পরে রিপনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। খুরশেদ চেয়েছিলেন বৈধভাবে যুক্তরাষ্টে বসবাসের জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে। সে জন্যই তিনি বৈধভাবেই বিপুল পরিমান অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রে এনেছিলেন। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে কিছুদিন রিপনের বাসাতেও অবস্থান করেন খুরশেদ আলী। পরে রিপন একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর বাসা তিনমাসের জন্য ভাড়া নিয়ে দেন খুরশেদ আলীকে। কিন্তু সেখানে তিনি দু’সপ্তাহ থেকেই ওই বাসা ছেড়ে দেন কোনো কারণে। ওই বাড়ি মালিকের সাথে প্রথমদিকে রিপনের একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকলেও পরে তারা একসাথে কাজ করেন বলে ভ‚ক্তভ‚গীরা জানিয়েছেন।
বিশাল অংকের অর্থ প্রতারণার শিকার খোরশেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আমি তাকে মোটা অংকের অর্থ বিশ্বাস করে দিয়েছিলাম। যেটা সে আমাকে লাভসহ ফেরত দিবে বলেও আর দেয়নি। কিন্তু সেই অর্থ ফেরত না দিয়ে রিপন মিয়া যুক্তরাষ্ট্রে আমার ব্যাংক একাউন্টের দিকে কুদৃষ্টি দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন আমার অনুপস্থিতিতে প্রতারণা করে চেজ ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ লাখ ডলার রিপন প্রতারণা করে কিভাবে নিজের একাউন্টে ওয়্যার ট্রান্সফার করেছে সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি। একই সাথে খুরশেদ আলী বলেন, রিপনের বাসায় থাকার সময়ে ভুল করে আমি কয়েকটি চেক বইয়ের পাতা রেখে যাই। যেটা অন্য একজনকে আমার দেয়ার কথা ছিলেঅ। আমি সেগুলোতে আগেই সাইন করে রেখেছিলাম। কিন্তু রিপন সেই চেক বইয়ের সাইন করা পাকা হাতে পেয়ে অনেক অর্থ একাউন্ট থেকে তুলে নেয়। যেহেতু ওইসব পাতায় আমার সাইন ছিলো সেটা না হয় নাই বললাম। কিন্তু আমার একাউন্ট থেকে কিভাবে সে বিপুল পরিমান অর্থ ওয়্যার ট্রান্সফার করে তার একাউন্টে নিতে পারলো সেটা চিন্তা করে পাচ্ছি না। খুরশেদ আলী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইনের দেশ। তিনি প্রতারনার বিচার পাবার সাথে সাথে তার অর্থও ফেরত পাবেন বলে আশা করেন। খুরশেদ আলীর বাড়ি চিটাগং হলেও তিনি ব্যবসার কাজে অন্য দেশে বসবাস করেন। বর্তমানে সে অর্থ ফেরত পাবার জন্য যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন। কিন্তু রিপন তার সাথে ফোনে কথা বলছেন না, দেখাও করছেন না।
প্রতারনার শিকার আরেক ব্যক্তি সাহজাহান স¤্রাট বলেন, প্রতারণা করে তার কষ্টার্জিত অর্থ তার একাউন্টে জমা নিয়ে এখন আর ফেরত দিচ্ছে না রিপন। তার সাথে আরও নানাভাবে প্রতারণার কথাও তুলে ধরেন স¤্রাট। তিনি বলেন রিপন একজন আপদমস্তক প্রতারক। প্রতারনাই তার মূল ব্যবসা। সম্রাটের বাড়ি ঢাকা।
অপর ভ‚ক্তভ‚গী লুৎফর খান দুঃখ করে বলেন, আমার ঘাম ঝড়ানো ৬০ হাজার ডলার সে প্রতারণা করে নিয়েছে। একই বাড়ি সে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য এগ্রিম নেয়ার পর আমার কাছ থেকেও রিপন প্রতারণা করে অর্থ নিয়েছে। একটা কমিউনিটিতে এ ধরনের একজন প্রতারক থাকলে সেই কমিউনিটিতে কেউ কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারবে না। তার অভিযোগ রিপন একজন পেশাজীবি প্রতারক। সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারনাই তার মূল কাজ। লুৎফরের বাড়ি নরসিংদি।
দেওয়ান ওমর ফারুক নামের অপর একজন প্রতারিত ব্যক্তি জানান, তার কাছ থেকেও রিপন ওই একই বাড়ি দেখিয়ে বিক্রির কথা বলে ১ লাখ ১২ হাজার পাঁচশত ডলার নেয়। কিন্তু পরে দেখা যায় সে ওই বাড়ি দেখিয়ে আরও কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়েছে। বহুদিন ঘুরাঘুরি করে অর্থ ফেরত না পেয়ে সে আইনের আশ্রয় নিলে আদালত ওমর ফারুকের পক্ষে রায় দেয়। মূল অর্থের সাথে আরও সাড়ে ১২ হাজার ডলার যোগ করে ওমর ফারুককে অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেই অর্থ ফেরত না দিয়ে ভ‚য়া কাগজ বানিয়ে আদালতে দাখিল করে রিপন। যেখানে বলা হয় ১ লাখ ১২ হাজার পাঁচশত নয়, সত্তর হাজার ডলার পাবে ফারুক। কিন্তু পরে প্রমান হয় সেটা ভ‚য়া এবং জাল কাগজ। এখনও ওই অর্থ রিপনের কাছ থেকে ফেরত পায়নি ওমর ফারুক। ওমর ফারুক অনেক কষ্ট করে এই ডলার আয় করে বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন। ওমর ফারুকের বাড়ি সাভার।
এ বিষয়ে জানার জন্য রিপন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ। তার স্ত্রীর পক্ষ হয়ে সবাই তার বিরুদ্ধে লেগেছে বলেও জানান। একই সাথে তিনি বলেন, অর্থদাতারা চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে বা প্রয়োজন হলে এফবিআই’র কাছে যেতে পারে।
উল্লেখ্য এর আগে গত ফ্রেব্রæয়ারিতে তার স্ত্রী মাহমুদা রুমা নিজেই বলেছিলেন, রিপন মিয়ার বহু পাওনাদার রয়েছে। মাহমুদা রুমা রিপনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে এখন তার কাছ থেকে আলাদা রয়েছেন। ভ‚ক্তভ‚গীরা জানিয়েছেন, রিপন একজন ধুরন্ধর প্রতারক। প্রতারণার কাজে সে তার স্ত্রীকে ব্যবহারের চেষ্টা করতো। কিন্তু তার স্ত্রী সেটা বুঝতে পেরেই তার কাছ থেকে সরে যান। যে বাড়িটি দেখিয়ে রিপন মিয়া একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন সেই বাড়িটিও মাহমুদা রুমার নামে। প্রকৃতপক্ষে স্ত্রীকে ফাঁসিয়ে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানোই ছিলো রিপনের আসল উদ্দেশ্য।

 

 

 

You may also like

Leave a Comment

Muktochinta

Multochinta is a famous news media from New York. 

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

All Right Reserved. 2022 emuktochinta.com