Home Featured নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে রিয়েল এস্টেট প্রতারক চক্রের বিশাল নেটওয়ার্ক

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে রিয়েল এস্টেট প্রতারক চক্রের বিশাল নেটওয়ার্ক

হোম কেয়ার, মানি ট্রান্সফার, নকল ফোন, এয়ার টিকিট, ট্যাক্স ফাইলিং, মূলধারার নির্বাচন সর্বত্র প্রতারণা

Mukto Chinta
0 comment 335 views

মুক্তচিন্তা রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিধি দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারক চক্রের প্রতারণা। প্রতারণার নানা কৌশলে ফাঁদে পড়ে সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে দিশেহারা বহু পরিবার। রক্ষা পাচ্ছে না গরীব অসহায় মানুষও। এমনকি অনেক ঝানু ব্যবসায়ীও তার ফাঁদে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। স্যূট-টাই পড়া সুদর্শন চেহারা আর মিষ্টি কথার জালে ফেলে প্রতারণা চলছে কমিউনিটির সর্বত্র। প্রতারণার সবচেয়ে উর্বর ক্ষেত্র রিয়েল স্টেট।


এ ছাড়াও প্রতারণার রয়েছে আরও অনেক মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে আসল বলে নকল সেল ফোন বিক্রি, হুন্ডি, মানি ট্রান্সফারের আড়ালে ভিন্ন ব্যবসা, এয়ার টিকিট জালিয়াতি, হজ্বে পাঠানোর নামে প্রতারণা। স্বাস্থ্যসেবার নামে কমিউনিটির সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা এখন হোম কেয়ার। কমিউনিটির হাজারো প্রতারক এখন হোম কেয়ারের সেবা দেয়ার নামে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধ প্রতারণা। মূলস্রোতে নির্বাচনের নামে ‘আইনসিদ্ধ’ অর্থ কামানোর ধান্ধায় ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আইনজ্ঞ না হয়েও নিজেকে অ্যাটর্নী বলেও প্রতারণা করছেন অনেকের সাথে। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে প্রতারণা যেনো এখন শিল্পে পরিনত হয়েছে। প্রতারকরা যে যেভাবে পারছে, যার সাথে পারছে তার সাথেই প্রতারণা করছে। প্রতারকদের রয়েছে একজনের সাথে অন্য জনের যোগাযোগ। তারা একটা নেটওয়ার্ক মেনেই প্রতারণা করছে। আজকের পর্বে থাকছে রিয়েল স্টেট প্রতারক চক্রের নেটওয়ার্ক নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম অংশ।


২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনা মহামারি শুরু হলে বহু মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য আর চাকুরী হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু সরকারের দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় সবাই আনএ্যাম্পøইমেন্ট পেতে শুরু করে। যে ব্যক্তি পুরো সপ্তাহ দিনরাত কাজ করে যা আয় করতো, সে আনএ্যাম্পøইমেন্ট পেতে থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি অর্থ জমা হতে থাকে ব্যাংক একাউন্টে। অনেকে আবার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় বেকায়দায় পড়েন। তাদের অবস্থা হয় ঠিক উল্টোটা। অবস্থা এমন হয় যে ‘কারো পৌষ মাস আবার কারো সর্বনাশ।’ স্বপ্নের আমেরিকায় একযুগ কাটিয়েও যে পরিবার ১০ হাজার ডলার ব্যাংকে জমাতে পারেনি, সেই পরিবারের একাউন্টেই জমে যায় লাখ ডলার। স্বাভাবিকভাবেই কেউ কেউ বাড়ি কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত কিছু প্রতারক। যদিও এই চক্র অনেক আগে থেকেই কমিউনিটিতে নীরব ঘাতকের মতো ‘ভাইরাস’ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।


আজকে পড়–ন রিয়েল এস্টেট প্রতারক যুবলীগ নেতা শাহাদত ভূইয়ার জমজমাট প্রতারণার কাহিনী। তার প্রতারণার কাহিনী শুনলে যে কারোরই চোখ কপালে উঠে যাবে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই সে প্রতারণার রাজ্যে নিজেই এক কিংবদন্তী। সাধারণ মানুষতো বটেই খোদ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরাই তার প্রতারণায় কুপোকাত। নিউইয়র্কের বেলরোজের বাসিন্দা যুবক শাহাদত প্রতারণার রাজ্যে নিজেই নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতারণার রাজ্যে তিনিই অঘোষিত রাজা।
প্রতারণার কৌশল হিসেবে সে ব্যবহার করে একাধিক ফোন নম্বর। নিজের এক নম্বর থেকে আরেক নম্বরে টেক্সট পাঠিয়ে রাখে। ওই ভূয়া ট্রেক্সটে বলা হয় ‘আমার —-নম্বরের বাড়িটি জরুরী প্রয়োজনে এখনই বিক্রি করতে চাই। যেখানে বা যে ঠিকানার বাড়ির কথা উল্লেখ থাকে সেটির প্রকৃত মূল্য যদি হয় ৮ লাখ ডলার সেখানে বলা হয়, সে এটা চার লাখ ডলারে বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু শর্ত একটাই। এখনই বা আজকেই তাকে এক লাখ ৫০ হাজার বা পঁিচশ হাজার ডলার বুকিং মানি দিতে হবে।’ এটাই তার পূঁজি। তার কোনো আর্থিক পূঁজির দরকার পড়ে না। তারপর সে খোঁজ রাখতে থাকে কার কাছে নগদ অর্থ আছে বা কে কে বাড়ি কিনতে চায় বা কেনার জন্য বাড়ি খুঁজছে। প্রতিদিনই সে তার নিজের ফেসবুকে অসংখ্য বাড়ি, ভবন বা জমির ছবি আপলোড করতে থাকে। সেখানে দেয়া আছে নিজের ফোন নম্বর। আছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে ছবি। এসবই তার প্রতারণার জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখে। তিনি যে নিয়মিত যুবলীগের বিভিন্ন মিটিং, মিছিল আর সমাবেশে যান সেটাও তার ফেসবুক পেজ ঘাটলে বুঝা যায়। তার ফেসবুকে প্রায় নিয়মতিতভাবেই সবার কাছে উন্মুক্ত আহবান জানানো হয় বিনিয়োগ করার জন্য। সেখানে দেয়া হয় দ্রুত সময়ে অধিক লাভের প্রলোভন। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ এসব। দলের জন্য তিনি যতটা না নিবেদিত তার চেয়েও বেশি ব্যবহার করতে চান দলের সদস্য হিসেবে নিজের জড়িত থাকার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসাকে।


শাহাদত ভূইয়া রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্টের নামে লাখ লাখ ডলার নিয়েছেন বলে তার নিজের ফেসবুক পেজে দেখা যায়। করোনা মহামারি শুরু হবার পর ২০২০ সালের মে মাসে তিনি তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ২০১৯ সালে তিনি দেড় মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছেন। ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যেই তিনি এক মিলিয়ন ডলারের বেশি ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছেন বলে জানান। তবে তার আশা ছিলো ২০২০ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলার পাবেন। তিনি কত লাখ ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছিলেন সেটা সরাসরি না বললেও, ২০১৯ সালে দেড় মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন বলে জানান। তবে তার অন্য অংশিদারদের মাধ্যমে তিনি নিজেই প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান। যারা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, তাদের মতে এটা শাহাদাতের প্রতারণার পদ্ধতি। শাহাদাতের প্রতারণার এসব ঘটনা ‘হেরাফেরি’র নায়ককেও হার মানাবে।


গত ৩০ বছর ধরে জ্যামাইকায় বসবাস করেন ওবায়দুল হক (ছদ্মনাম)। আর স্ত্রী জিনাত হক (ছদ্মনাম) বাস করেন গত ২৬ বছর ধরে। গত বছরের মাঝামাঝি জ্যাকসন হাইটসে একটি বাড়ি দেখতে যান তারা। ওই বাড়িটি তাদের কেনার পরিকল্পনা থাকলেও বেশি দাম হওয়ার কারণে কিনতে পারেননি। সেখানেই পরিচয় হয় শাহাদাত ভূইয়ার সাথে। ব্যাংকে গচ্ছিত জিনাত হকের অর্থ হাতিয়ে নিতে পিছু লাগেন শাহাদাত। জিনাতের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে অসুস্থ। সন্তানদের পড়ালেখার পেছনেও আছে খরচের বিষয়। এক সময় শাহাদাতের সাথে যোগাযোগ বেড়ে যায়। শাহাদাত জানতে পারে জিনাতের ব্যাংকে বাড়ি কেনার জন্য এখনও অর্থ জমা আছে। তখন জিনাতকে শাহাদাত নানাভাবে প্রলুদ্ধ করতে থাকে ওই টাকা তার হাতে তুলে দিতে। শাহাদাত জিনাতকে প্রতিদিনই বুঝাতে চেষ্টা করে। তাকে বুঝায়, ‘অর্থ ব্যাংকে না রেখে তার কাছে বিনিয়োগ করতে।’ প্রলোভন দেখানো হয় বাড়ির জন্য বিনিয়োগ করতে অথবা ভার্চূয়াল কারেন্সি কেনার জন্য। শাহাদাত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় নিজেকে একজন অভিজ্ঞ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। শাহাদাতের নিজের ফেসবুক পেজে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতিনিয়তই সে ফেসবুক পেজে জানাতো, কিভাবে সে নিজে হাজার হাজার ডলার কামিয়ে লাভবান হচ্ছে।


ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারী নেয়ার জন্য তার কোনো লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মুক্তচিন্তার এই প্রতিবেদককে জানান, ‘এই ধরণের বিনিয়োগের জন্য লাইনেন্সের দরকার পড়ে না।” যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নিজের নামে বিনিয়োগের লাইসেন্স না থাকলে এভাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বিনিয়োগকারী আহবান করা বেআইনী।
শাহাদাতের প্রতিনিয়ত অনুরোধ, আবদার আর নানা প্রতারণার কৌশলে পড়ে এক সময় জিনাত অর্থ দিতে রাজী হন। তাকে বুঝানো হয়, বাড়ি কেনা হোক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা হোক দুটোতেই লাভ। প্রতি মাসেই সে কয়েক হাজার ডলার করে পাবেন। যেটা তার সংসারের খরচ মেটাতে কাজে লাগবে। শেষ পর্যন্ত তিনি শাহাদাতের কথায় রাজী হন ব্যাংকে গচ্ছিত সারাজীবনের জমাকৃত ও ধার-দেনা করা অর্থ তার হাতে তুলে দিতে এবং দিয়েও দেন।
প্রতারণার শিকার জিনাত হকের সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, বাড়ি কেনার কথা বলে একলাখ ডলার নোটারী পাবলিক করে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে এবং ৪০ হাজার ডলার ব্যাংক ট্রান্সফার করে বিট কয়েন কেনার জন্য নেয় শাহাদাত। হাতে অর্থ পাবার পর শাহাদাতের আচরণ পাল্টে যায়। সে আর ধরা দিতে চায় না পাওনাদারের কাছে। এরপর মাসের পর মাস চলে যায়। অর্থ ফেরত চাইলে উল্টো জিনাতকে শাহাদাত জানায়, ‘আপনি কমিউনিটিতে আমার রেপুটেশন খারাপ করছেন। অর্থ নেয়ার আগে শাহাদাত নিজের নামাজ, রোজা করার কথা বলে কসম করতো। এমনকি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে গিয়েও কসম করে শাহাদাত বলেছে সে তার অর্থ ফেরত দেবে। কিন্তু সেই শাহাদাত এক সময় বদলে যায়। কারণ এটাই তার প্লান। প্লান অনুযায়ীই শাহাদাত এসব করেছে। এক সময় পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায় শাহাদাত। একেবারেই নাগালের বাইরে। সেই শাহাদাতকে আর কোনোভাবেই খুঁজে পায় না জিনাত। অসহায় জিনাত সব হারিয়ে শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নেয়।
এ বিষয়ে শাহাদাত ভূইয়ার সাথে কল করা হলে তিনি অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ব্যবসায় ভালো করতে পারলে অর্থ ফেরত দিবো। সে বিপুল অর্থ শেয়ার মার্কেটে হারিয়েছেন বলে জানান। প্রতারণায় যারা শিকার তারা বলেছেন, শাহাদাতের সাথে এক সুন্দরী যুবতীও এই প্রতারণার সাথে জড়িত। ওই মেয়ে শাহাদাতকে এ ধরনের প্রতারণায় সহযোগিতা করতেন। জিনাতের কাছ থেকে যেদিন অর্থ নেন সেদিন ওই মেয়ে শাহাদাতের পাশেই বসাছিলো এবং সে অর্থ দেয়ার পক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়েছেন।
তবে শাহাদাত বলেছেন, ওই মেয়ে তার গার্লফ্রেন্ড ছিলো। কিন্তু সে প্রতারণার সাথে বা তার এই অর্থ নেয়ার সাথে জড়িত না। এসব আর্থিক প্রতারণাকে কেন্দ্র করে সেই গার্লফ্রেন্ড তাকে ছেড়ে চলে গেছেন বলেও দুঃখ করেন নোয়াখালীর এই কৃতি সন্তান শাহাদাত ভূইয়া। শাহাদাতের ভাষ্য অনুযায়ী, বহু মানুষ তার কাছে অর্থ পায় এই অভিযোগ উঠার পর থেকেই সে আর যোগাযোগ করে না। একইসাথে শাহাদত জানায়, বাংলাদেশে তার পরিবার অনেক ধনাঢ্য। কিন্তু ব্যবসায় লস খাবার পর থেকে সে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে জিনাতকে পথে বসিয়েও ক্ষান্ত থাকেননি শাহাদাত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করার আহবান ছাড়াও নানা উপায়ে চলতে থাকে তার প্রতারণার জাল ফেলার অভিযান। এবার কমিউনিটির অতি পরিচিত রিয়েলটর মোর্তজা কামাল সিদ্দিকীর ব্যাংকে তার নজর। ইতিপূর্বে একটা বাড়ি কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করেই কামাল সিদ্দিকীর সাথে তার পরিচয় ছিলো। সেই সুবাদে কামাল সিদ্দিকী ও অংশিদারের সাথে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু করে পুনরায়। সুযোগ বুঝে তাদেরকে বিট কয়েন কেনার জন্য বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। সে নানাভাবে তাদেরও প্রলুদ্ধ করে সে নিজে কিভাবে প্রতিদিনই হাজার হাজার ডলার লাভবান হচ্ছে। নীতিগতভাবে তারা বড় অংকের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত মনে মনে নিলেও প্রাথমিকভাবে তারা ২০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে দেখতে চান। গত বছর আগস্টের ৩০ তারিখে চেক দেবার কিছুক্ষণ পরেই সে চেক ভাঙ্গিয়ে অর্থ করে নেন। কিন্তু কোনো একটি বিষয়ে কথা বলার জন্য পরক্ষণেই কামাল সিদ্দিকী ফোন করলে শাহাদাত আর ফোন রিসিভ করেন না। এভাবেই ঘন্টা, দিন, সপ্তাহ, মাস চলে যায়। শাহাদাতও আগের মতোই হারিয়ে যায়। তারা এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছেন অর্থ ফেরত পেতে।
এ বিষয়ে কামাল সিদ্দিকী জানিয়েছেন, কমিউনিটিতে প্রকৃত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা কারো সাথে প্রতারণা করতে পারে না এবং করেও না। তবে কেউ কেউ অসৎ পথ বেছে নিয়েছে, সেটা তাদের ক্যারিয়ারের জন্যই খারাপ। এসব কিছুর অবসান হওয়া দরকার।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে প্রতারণায় আরো অনেকেই জড়িত। শাহাদাতের চেয়ে বড় রাঘব-বোয়াল একই ধরনের কাজ করছে। তারা আরও বড় অংকের প্রতারণায় জড়িত। সেসব নিয়ে রিপোর্ট থাকবে আগামীতে।
* আপনি যদি কোনো লেনদেনে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রতারিত হয়ে থাকেন তাহলে সঠিক তথ্য প্রমাণ সহকারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন অথবা ইমেইল করুন। আমরা সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর।

You may also like

Leave a Comment

Muktochinta

Multochinta is a famous news media from New York. 

Subscribe my Newsletter for new blog posts, tips & new photos. Let's stay updated!

All Right Reserved. 2022 emuktochinta.com