মুক্তচিন্তা রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউিনিটির এক রিয়েল এস্টেট প্রতারক তার দোষ স্বীকার করেছে। ২০১৫ সাল থেকে সে একাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে এসব প্রতারণা শুরু করে। এই প্রতারকের নাম রাশিদুন বুখারী পলাশ। নিউইয়র্ক স্টেট ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এ্যাটর্নী ব্রিয়ন পিস জানিয়েছেন, বুখারী এ পর্যন্ত তিনজনের সাথে এক মিলিয়ন ডলারেও বেশি প্রতারণার কথা নিজে স্বীকার করেছেন।
এ্যাটর্নী জানিয়েছেন বুখারীর সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হতে পারে। চলতি বছরের আগস্টের ৬ তারিখে তার বিরুদ্ধে রায় হবার কথা রয়েছে।
জানা যায়, বুখারী মাত্র একজন ব্যক্তির কাছ থেকেই সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৫ হাজার ডলার গ্রহণ করে চারটি প্রপার্টির ৫০ ভাগ শেয়ার দেয়ার কথা বলে। তার কাছ থেকে একাধিক চেকের মাধ্যমে সে অর্থ গ্রহণ করে। এই প্রপার্টিগুলোর অবস্থান ছিলো এস্টোরিয়া এবং লং আইল্যান্ড সিটিতে। আদালতে এটাও প্রমাননিত হয় যে. বুখারী লেনদেনের ভ‚য়া ডকুমেন্ট তৈরি করে ইনভেস্টরকে দেখায়। প্রকৃতপক্ষে সে ওই অর্থ ইনভেস্ট না করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। তা ছাড়াও নিজের মর্টগেজ এবং লাইফ ইন্সুরেন্টের পেমেন্টসহ অনান্য জায়গাতেও ব্যায় করে।
বুখারী আরও দুইজন বাংলাদেশীর সাথে প্রতারণা করে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২২ সালের মধ্যে । তাদের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় এক লাখ একানব্বই হাজার ডলার। এ্যটর্নী পিসের একজন স্টাফ কোরাল মার্ফি মার্কোস (ঢ়ধঃপয.পড়স) ওয়েবসাইটে ২৮ মার্চ এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
এ্যটনী পিস জানিয়েছেন, বুখারী তিনজনইে প্রতারণা করে নেয়া অর্থ ফেরত দিতে চেয়েছেন। বুখারীর কাছে যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা সবাই বাংলাদেশী ছিলেন। বুখারীর দ্বারা আরও কেউ প্রতারিত হয়ে থাকলে বা তার কাছে অর্থ পাওয়ানা থাকলে এ্যাটর্নী অফিসে জানাতে বলা হয়েছে।
প্রতারণঅর শিকার হওয়া একজন ইনভেস্টর জানিয়েছেন বারবার অর্থ দেয়ার কথা বলে ইতিপূর্বে বারবার ভ‚য়া চেক দিয়েছেন বুখারী। বুখারীর প্রতারণার শিকার হয়ে একজন ইনভেস্টর পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন। অন্যদেরও একই অবস্থা।